নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা | Nobel Prize 2024 in Bengali

Nobel Prize 2024 : নোবেল পুরস্কার হল পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বার্ষিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার গুলির মধ‍্যে অন‍্যতম। যা সুইডিশ এবং নরওয়েজিয়ান প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর একাডেমিক ,সাস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য কৃর্তীর জন্য বেশ কয়েকটি বিভাগে এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এই পুরস্কার আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে ।

আলফ্রেড নোবেল ছিলেন একজন সুইডিশ রসায়নবিদ, প্রকৌশলী এবং শিল্পপতি যিনি ডিনামাইট আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি 1896 সালে মারা যান। 1896 সালে তার মৃত‍্যুর 5 বছর পর 1901 সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি Nobel Prize 2024 তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আজকের এই পর্বটিতে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ বিজয়ীদের তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করবো।

নোবেল পুরস্কার বলা হলেও, আসলে এটি নোবেল পুরস্কার নয়। এই পুরস্কার দেয় সুইডিশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আনুষ্ঠানিক নাম, ‘আলফ্রেড নোবেলর স্মৃতিতে অর্থছনৈতিক বিজ্ঞানে দ্য সুইডিশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক পুরস্কার’। ১৮৯৫-এ আলফ্রেড নোবেল যে শেষ ইচ্ছাপত্রটি লিখেছিলেন, তাতে পাঁচটি শাখায় নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য তিনি তহবিল রেখেছিলেন। তার মধ্যে অর্থনীতি ছিল না। তিনি পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার দিতে চেয়েছিলেন – পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা বা ফিজিওলজি, সাহিত্য এবং শান্তি। তিনি মনে করতেন এই পাঁচটি বিভাগই মানব কল্যাণে সরাসরি অবদান রাখে।

১৯৬৮ সালে, সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ৩০০ বছরে, অর্থনীতিতে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দেয় তারা। অন্যান্য পাঁচ বিভাগের সঙ্গেই অর্থনীতির নোবেল পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৬বার অর্থনীতিতে নোবেল মেমোরিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ২৬ বার এককভাবে পুরস্কার জিতেছেন বিজয়ীরা। ২০ বার এই পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন দুই প্রাপক। এইবার নিয়ে ১০বার তিনজন বিজয়ীর যৌথভাবে জিতেছেন নোবেল মেমোরিয়াল পুরস্কার।

বিজয়ীদের নামবিভাগকৃতিত্ব
1.ডারন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন এবং জেমস এ রবিনসনঅর্থনীতিদেশীয় সমৃদ্ধিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
2.নিহন হিডানকিওশান্তিহিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে এই জাপানি গোষ্ঠী
3.ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুনচিকিৎসা বিজ্ঞানজীবকোষের মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের ট্রান্সক্রিপশন পরবর্তী পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা নিয়ন্ত্রণের দিশা
4.হপফিল্ড আর হিন্টনপদার্থবিদ্যাকৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক
5.হান কাংসাহিত্যঐতিহাসিক ঘটনাগুলি মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে, তা বার বার খুঁজেছেন হান। তার পর তুলে ধরেছেন নিজের লেখনীতে।
6.স্যর ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পাররসায়নবিদ্যাআলফা-ফোল্ড নামে একটি যুগান্তকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ব্যবস্থা তৈরি করেছেন, যা অ্যামিনো অ্যাসিডের সিকোয়েন্স থেকে প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক গঠনের পূর্বাভাস দিতে পারে
Nobel prize 2024

1000 জীবন বিজ্ঞান MCQ সেট 3

অস্কার পুরস্কার ২০২৪ তালিকা

ভারতের বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ তালিকা

1000 ইতিহাস MCQ সেট-৫

1000 জীবন বিজ্ঞান MCQ সেট ২

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ২০২৪

২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন তিন অর্থনীতিবিদ – ডারন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন এবং জেমস এ রবিনসন। ডারন অ্যাসেমোগ্লু মূলত তুর্কিয়ের ইস্তাম্বুল শহরের মানুষ। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অধ্যাপনা করেন। একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক, ব্রিটেনের শেফিল্ডের মানুষ সাইমন জনসন। আর ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ, জেমস এ. রবিনসন, বর্তমানে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর), রয়্যাল সুইডিশ আকাদেমি অব সায়েন্সেস নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে এই তিনজনের নাম ঘোষণা করল।

আকাদেমি জানিয়েছে, “কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলি গঠিত হয় এবং তা সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে” এই বিষয়ে এই তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণাকে স্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

অর্থনীতিতে ২০২৪ সালের নোবেল প্রাপক তিন জনের গবেষণার বিষয়— দেশীয় সমৃদ্ধিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা। সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি কী ভাবে তৈরি হয় এবং সামগ্রিক সমৃদ্ধিকে কী ভাবে প্রভাবিত করে, সেই নিয়েই দীর্ঘ গবেষণা করেছেন তাঁরা। নোবেল কমিটির (অর্থনীতি) চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন বলেছেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে আয়ের পার্থক্য কমানো এই সময়ের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই তিন অর্থনীতিবিদ দেখিয়েছেন, সেই অসাম্য দূর করতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে। যে সব দেশের সামাজিক রীতিনীতিগুলি শোষণমূলক, সেই সব সমাজ বিশেষ সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠতে পারে না। গবেষণার মাধ্যমে তা-ই দেখিয়েছেন তিন বিজ্ঞানী।’’

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ২০২৪

2024 সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার নিহন হিডানকিওকে দেওয়া হয়, 1945 সালের হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া একটি সংগঠন। অরিগামি ক্রেন পারমাণবিক অস্ত্র বাতিলের জন্য তাদের লড়াইয়ের প্রতীকী হয়ে উঠেছে।

২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল জাপানের নিহন হিদানকিও। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে এই জাপানি গোষ্ঠী। নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীকে পরমাণু বোমা থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে অসামান্য অবদান রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। পরমাণু বোমা যে বিশ্বের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রচারমূলক কর্মসূচি চালায় এই জাপানি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৬ সালে তৈরি হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো ঘটনা যাতে আরও কোনও দিন কোথাও না ঘটে, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই অবিরাম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নিহন হিদানকিও। তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে নোবেল কমিটি।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০২৪

জীবকোষের মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের ট্রান্সক্রিপশন পরবর্তী পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা নিয়ন্ত্রণের দিশা বাতলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে (মেডিসিন) নোবেল পুরস্কার ২০২৪(Nobel Prize 2024) পেলেন দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন

সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের নোবেল প্রাপক হিসাবে আমেরিকার দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে। পোলিশ বংশোদ্ভূত জীব রসায়নবিদ ভিক্টর আমেরিকার নাগরিক। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রাক্তনী। জিন বিশেষজ্ঞ গ্যারি ম্যাসাচুসেটস হাসপাতালের জৈব অনুবিদ্যার গবেষক তথা বোস্টনের হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের জিনবিদ্যার অধ্যাপক।

বস্তুত, নিজস্ব সঙ্কেত আদানপ্রদান পদ্ধতির মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরের কোষ থেকে কোষে সঙ্কেত বয়ে নিয়ে যেতে পারে এমআরএনএ। কিন্তু এত দিন পর্যন্ত তার উপস্থিতির কথা জানা থাকলেও চরিত্র এবং গতিবিধি অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের। ভিক্টর এবং গ্যারির ‘হাত ধরে’ জানা গেল, জিনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে ‘মাইক্রো আরএনএ’ নামে এমন গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের প্রকৃত ভূমিকা। সি এলেগান্‌স নামে ক্ষুদ্র কীটের দেহে এম আরএনএর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে এই সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা।

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ২০২৪

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ২০২৪ প্রাপক দুই বিজ্ঞানীর গবেষণার বিষয়— কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ‘মেশিন লার্নিং’ সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পালাবদল আনবে তাঁদের আবিষ্কার। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক ‘মেশিন লার্নিং’-এরই একটি মডেল।

কী এই ‘মেশিন লার্নিং’? সহজ ভাষায় বললে, মেশিন লার্নিংয়ের সারকথাটি হল, একটি শিশু যেমন করে পারিপার্শ্বিক থেকে শেখে, সে ভাবেই শেখে যন্ত্রও। শৈশব থেকে বার বার একই জিনিস দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতেই একটি শিশু শেখে। তেমনই নানা তথ্য বা ডেটা বার বার দেখিয়ে যন্ত্রকেও ‘শেখানো’ হয়। একই ধাঁচের ডেটাগুলি বার বার দেখতে দেখতেই যন্ত্র সেগুলি আত্মস্থ করে। পরে অজানা ডেটার ক্ষেত্রেও যন্ত্র কাজে লাগাতে পারে সেই লব্ধ জ্ঞান। সেই যন্ত্রকে ‘শেখাতেই’ কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের ব্যবহার। যন্ত্রকে শেখানোর নানা পদ্ধতি বা অ্যালগোরিদমের একটি হল কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক। মানবমস্তিষ্কে নিউরোন জুড়ে জুড়ে যেমন ‘নেটওয়ার্ক’ অর্থাৎ স্নায়ুতন্ত্র তৈরি হয়, সেই ধাঁচেই একাধিক কৃত্রিম নিউরাল ‘নোড’ জুড়ে জুড়ে তৈরি হয় এই কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক। আর সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ হপফিল্ড আর হিন্টনের আবিষ্কার। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক বানাতে তাঁরা কাজে লাগিয়েছেন পরিসংখ্যানগত পদার্থবিদ্যার মৌলিক ধারণাকেই।

হপফিল্ড বানিয়ে ফেলেছিলেন এমন একটি মডেল, যা তথ্য জমা করে রাখার পাশাপাশি রিকনস্ট্রাক্ট, অর্থাৎ পুনর্গঠনও করতে পারে। এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আদিযুগে এআই ‘জেনারেটিভ মডেল’কে প্রাথমিক রূপ দিয়েছিলেন এই হপফিল্ডই। আর ‘হপফিল্ড নেটওয়ার্ক’কে কাজে লাগিয়েই হিন্টন আবিষ্কার করেছিলেন ‘বোল্টজ্‌ম্যান মেশিন’, যার সাহায্যে স্বাধীন ভাবে দু’টি ডেটার মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে যন্ত্রও। আজকের দিনে যত রকমের নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়, তার নেপথ্যে রয়েছে এই দুই বিজ্ঞানীরই আবিষ্কার।

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং। মানুষের জীবনের ভঙ্গুরতা, যন্ত্রণার কথা বার বার হানের কলমে উঠে এসেছে আর গদ্য হয়ে উঠেছে কবিতা। নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সে কারণেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে হানকে। পুরস্কার বাবদ সুইডেনের অ্যাকাডেমির তরফে ১১ লক্ষ সুইডিশ ক্রাউন (১১ লক্ষ আমেরিকান ডলার) দেওয়া হবে তাঁকে। ভারতীয় মুদ্রায় ৯ কোটি টাকারও বেশি। ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় হানের হাতে।

নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, হানের লেখনীতে মানুষের মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণা উঠে এসেছে বার বার। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে, তা বার বার খুঁজেছেন হান। তার পর তুলে ধরেছেন নিজের লেখনীতে। সেখানে ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির যন্ত্রণা মিলেমিশে একাকার হয়েছে। ২০১৪ সালে তাঁর লেখা ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’-এর প্রেক্ষাপট এ রকমই এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৮০ সালে গুয়াংজুতে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পড়ুয়ারাও। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হিংসা, প্রতিরোধ উঠে এসেছিল ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’-এ।

১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঙ্গজুতে জন্ম হানের। তাঁর বাবাও বিশিষ্ট সাহিত্যিক। কবিতা দিয়েই সাহিত্যে হাতেখড়ি হানের। ১৯৯৩ সালে প্রথম বার তাঁর পাঁচটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ‘উইন্টার ইন সোল’ কবিতাটিও। মুনহাক-গুয়া-সাহো (লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি)-এর শীতকালীন ইস্যুতে ছাপা হয়েছিল সেই কবিতা। পরের বছর ১৯৯৪ সালে ঔপন্যাসিক হিসাবে হাতেখড়ি হয় হানের। ওই বছরই তিনি সোল শিনমুন বসন্তকালীন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়। সেই সংকলনের নাম ছিল ‘ইয়োসু’। ১৯৯৮ সালে আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাসের জন্য লেখালিখির একটি আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কোরিয়ার আর্টস কাউন্সিল সাহায্য করেছিল হানকে।

এর পর ‘ফ্রুটস অফ মাই ওম্যান’ (২০০০), ‘স্যালাম্যান্ডার’ (২০১২)-এর মতো ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। ‘ব্ল্যাক ডিয়ার’ (১৯৯৮), ‘ইওর কোল্ড হ্যান্ডস’ (২০০২), ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ (২০০৭) ‘ব্রিদ ফাইটিং’ (২০১০)-এর মতো উপন্যাসেরও জন্ম দিয়েছে তাঁর কলম। ‘দ্যা ভেজিটেরিয়ান’-এর জন্য ২০১৬ সালে বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন হান। তাঁর সাম্প্রতিক উপন্যাস ‘আই ডু নট বিড ফেয়ারওয়েল’-এর জন্য ২০২৩ সালে ফ্রান্সে মেডিসিস পুরস্কার পেয়েছিলেন।

রসায়নবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ২০২৪

রসায়নে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ দেওয়া হয়েছে গুগল ডিপমাইন্ড ও আইসোমরফিক ল্যাবসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও স্যর ডেমিস হাসাবিস এবং গুগল ডিপমাইন্ড-এর ডিরেক্টর জন জাম্পারকে। তাঁরা আলফা-ফোল্ড নামে একটি যুগান্তকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ব্যবস্থা তৈরি করেছেন, যা অ্যামিনো অ্যাসিডের সিকোয়েন্স থেকে প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক গঠনের পূর্বাভাস দিতে পারে। এর ফলে প্রোটিনের জটিল গঠন দ্রুত এবং নির্ভুল ভাবে বার করা সম্ভব, যা দ্রুততর করে তোলে ওষুধ আবিষ্কার, রোগ নির্ণয়, এবং জৈবরসায়নের সামগ্রিক গবেষণা।

এঁদের সঙ্গেই পুরস্কৃত হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন, সিয়াটল-এর ডেভিড বেকার, কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজ়াইনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য, যা গত কয়েক বছরে এআই-এর ব্যবহারে সমৃদ্ধ হয়েছে অনেক গুণ।

Q. পদার্থ বিজ্ঞানে 2024 সালে নোবেল বিজয়ী কে ?

Ans. ২০২৪ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারের জন্য যৌথ ভাবে মনোনীত হয়েছেন আমেরিকার হপফিল্ড আর হিন্টন.

Q.চিকিৎসা বিজ্ঞানে 2024 সালে নোবেল বিজয়ী কে ?

Ans. এই বছরে ফিজিওলজি তথা মেডিসিনে নোবেল পেলেন দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন

Q. কে 2024 সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন?

Ans. ২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল জাপানের নিহন হিদানকিও। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে এই জাপানি গোষ্ঠী।

Q.একজন নোবেল বিজয়ী কত টাকা পান?

Ans. প্রতি বছর নোবেলজয়ীরা নোবেল পদক ছাড়াও পান একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ বিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য আট কোটি ৯০ লক্ষ টাকারও বেশি।

Q. সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ সালে নোবেল বিজয়ী কে ?

Ans. সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৪ পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং। মানুষের জীবনের ভঙ্গুরতা, যন্ত্রণার কথা বার বার হানের কলমে উঠে এসেছে আর গদ্য হয়ে উঠেছে কবিতা।

Leave a Reply